কলোরাডোর ডেনভারে একটি প্লেন জরুরি অবতরণ করার সময় নিচের একটি এলাকায় খসে পড়ে ইঞ্জিনের ধ্বংসাবশেষ। অল্পের জন্য রক্ষা পায় কয়েকটি বাড়ি। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে বলা হয়েছে, আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পর বোয়িং ৭৭৭-২০০ আকাশযানের ডানদিকের ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ হয়।
উড়োজাহাজটিতে ২৩১ জন যাত্রীর পাশাপাশি ১০ জন ক্রু ছিলেন। তবে কেউ হতাহত হননি। পরে অন্য একটি প্লেনে যাত্রীদের গন্তব্যে পাঠানো হয়। এই ইঞ্জিনের ২৪টি উড়োজাহাজ আছে যুক্তরাষ্ট্রে। অন্য দেশের মধ্যে জাপান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ইঞ্জিনটি ব্যবহার করছে। এ ঘটনার পর জাপান ইতিমধ্যে সব ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে।
সব মিলিয়ে পৃথিবীজুড়ে ৬৯টি উড়োজাহাজে এই ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড এয়ারলাইনস। যে উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণ করে, তাতে ডেভিড নামের এক ব্যক্তি ছিলেন। নতুন জীবন পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘ভয়ংকরভাবে প্লেন কাঁপতে শুরু করে। মনে হচ্ছিল আমরা নিচে পড়ে যাচ্ছি। ভেবেছি এই বুঝি মরে গেলাম। ’
তিনি জানান, পাইলট বিপদের ঘোষণা দেয়ার পর অনেক যাত্রী চিৎকার করে কাঁদতে থাকেন। অনেকে মেঝেতে শুয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। অবতরণ স্থলের মানুষেরাও ঘটনার আকস্মিকতায় চমকে যান। তারা বিকট শব্দ শুনে এগিয়ে আসেন।