এখন থেকে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করবে নিউইয়র্ক স্টেট। সাথে রাজ্যের ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে দিনটি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে নিউইয়র্ক সিনেটে সম্প্রতি এই রেজ্যুলেশনটি পাশ হয়েছে। রেজুলেশন নম্বর J440।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিশ্বজিত সাহার প্রস্তাবনায় নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন লু আইন পরিষদে উত্থাপন করলে আসে এমন স্বীকৃতি। এতে এই প্রথম নিউইয়র্ক সিনেটে আইন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলো বাংলাদেশের জন্য বিশেষ দিনটি। রেজ্যুলেশনে বলা হয়েছে, ৫০ বছর আগে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। একটি শান্তিপূর্ণ দেশের বিনির্মাণে যা এখনো দেশটির মানুষের কাছে প্রেরণার উৎস হয়ে কাজ করছে।
রেজ্যুলেশনে আরো বলা হয়, ‘আর্থ-সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসাবে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি-আমেরিকানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। সুবর্ণজয়ন্তী পালনের মধ্য দিয়ে তাদেরকে অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর কাছাকাছি নিয়ে আসবে নিউইয়র্ক স্টেট’।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিশ্বজিত সাহা বলেন, ‘নিউইয়র্কে বসবাসরত প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির এই অর্জন। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের গৌরবোজ্বল স্বাধীনতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী পালনের জন্য আমরা ২০১৬ সাল থেকে কাজ শুরু করি। যার ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্যারেডে নিউইয়র্কের কম্পট্রলার, পাবলিক অ্যাডভোকেট, সিনেটর, অ্যাসেম্বলি মেম্বার, কাউন্সিল মেম্বারসহ সকলকে বাংলাদেশের প্যারেডে যুক্ত করা হয়।
বিশ্বজিত সাহা আরও বলেন কোভিড ১৯ আমাদের অনেক পরিকল্পনা ব্যাহত হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন আগে থেকে লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করার ফলে এই ধরণের অর্জন সম্ভব হয়েছে। জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীর ১৭ মার্চকে আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু ডে ঘোষণা, ইউনাইটেড স্টেট পোস্টাল সার্ভিস কর্তৃক বঙ্গবন্ধু স্মারক ডাক চিহ্ন প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে।